আজকে আপনি ট্যুরিস্ট ভিসায় কিভাবে সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যগতভাবে সমৃদ্ধ দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমন করবেন, বিমান ভাড়া ও হোটেল খরচ কত হতে পারে, ভিসা, দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
ভিসাঃ
দক্ষিণ কোরিয়া ট্যুরিস্ট ই-ভিসা পেতে বেশি জটিলতা নেই। দক্ষিণ কোরিয়া ট্যুরিস্ট ই-ভিসার ক্ষেত্রে অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করে পূরনকৃত আবেদনফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহকারে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ঢাকাস্থ অ্যাম্বাসিতে গিয়ে জমা দিবেন। আপনি সকাল ৯ টায় গিয়ে অ্যাম্বাসিতে উপস্থিত হবেন। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশী ট্রাভেলারদের জন্য ৯০ দিনের ট্যুরিস্ট ই-ভিসা ইস্যু করে । এক্ষেত্রে আপনি সিঙ্গেল/ ডাবল / মাল্টিপল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সিঙ্গেল এন্ট্রির জন্য খরচ হবে 40 USD /ডাবল এন্ট্রির জন্য 70 USD /মাল্টিপল এন্ট্রির জন্য 90 USD। সাধারনত ভিসা প্রসেসিং এর জন্য ৭-১০ কর্মদিবস সময় লাগে। দক্ষিণ কোরিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে মিনিমাম ৪-৫ টি দেশ ভ্রমন অভিজ্ঞতা এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট ভালো থাকলে আপনার ভিসা পেতে সহজ হবে। এরপর ১৫ দিনের প্রসেসিং টাইম আছে এর মধ্যেই আপনি আবেদনকৃত ইমেইলে এ দক্ষিণ কোরিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।
ঢাকা টু দক্ষিণ কোরিয়া কিভাবে যাবেন এবং বিমান ভাড়াঃ
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা পাওয়ার পর আপনি ঢাকা টু দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য ফ্লাইট টিকেট করবেন।
ঢাকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়া সরাসরি কোন ফ্লাইট নেই। বাংলাদেশ থেকে ১০টির বেশি এয়ারলাইন্স ফিরতি টিকেটসহ ফ্লাইটের সুবিধা দিয়ে থাকে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, কোরিয়ান এয়ার, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারওয়েজ ইত্যাদি এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে আপনি দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারেন। তবে যে এয়ারলাইন্স বা এয়ারওয়েজ গুলো দেখতে পাচ্ছেন, এগুলোর মধ্যে সবথেকে কম রেট হয়ে থাকে কাতার এয়ারওয়েজ এর। যখনই আপনারা বাংলাদেশ টু দক্ষিণ কোরিয়া রুটের টিকেট কাটবেন, কম রেটের মধ্যে কাতার এয়ারওয়েজের টিকেট সবচেয়ে কমে কাটতে পারবেন।
ভ্রমনের ১ মাস আগে টিকেট কনফার্ম করার চেষ্টা করবেন তাহলে কম প্রাইসে ফ্লাইট টিকেট পাবেন। ঢাকা টু দক্ষিণ কোরিয়া রুটের সর্বনিম্ন ভাড়া ৩৬,০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৬,৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তো যাই হোক বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে সময় লাগে সর্বনিম্ন ১৮ ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ ২২ ঘন্টা ৩০ মিনিট এর মত, এক্ষেত্রে হয়তোবা ১৫ থেকে ২০ মিনিট এদিক সেদিক হতে পারে।
আর যাওয়ার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী US Doller নিয়ে যাবেন।
টিপসঃ
আপনি দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর পর এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করে Money exchange Counter থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী doller exchange করে নিবেন অথবা আপনার হোটেলের পার্শ্ববর্তী exchange counter থেকেও doller exchange করে নিতে পারবেন । এরপর এয়াপোর্ট থেকে সিমকার্ড কিনে নিবেন।
Public transportation ব্যবহার করার জন্য T-money card করে নিবেন। সব স্টেশনে কার্ড কেনা ও রিচার্জ করার মেশিন আছে। এটা করার জন্য ক্যাশ পেমেন্ট করতে হয়। এছাড়া এখানে দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্যাশের ব্যবহার অনেক কম এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিজিটাল পেমেন্ট।
হোটেল খরচঃ
হোটেল বুক করার জন্য আপনি Booking.com অথবা Agoda.com Website visit করে হোটেল রুম বুক করতে পারবেন। সব থেকে ভালো হবে যদি আপনি আগে থেকেই হোটেল কনফার্ম করে রাখেন। Mercure Ambassador Seoul Hongdae, L7 Hongdae এবং Pillowsopher Hongdae ইত্যাদি হোটেল আপনি চাইলে কনফার্ম করে রাখতে পারেন।
বাজেটের হোটেলগুলির খরচ প্রতি রাতে $40 থেকে $100 হতে পারে, যা বাংলাদেশী টাকায় ৪৮০০ টাকা থেকে ১২০০০ টাকা । সিউলের 3-তারা হোটেলগুলির সাধারণত প্রতি রাতে খরচ হয় $95, এবং 4-তারা হোটেলগুলির খরচ হয় প্রতি রাতে $127।
দর্শনীয় স্থানঃ
দক্ষিণ কোরিয়ার ভ্রমন জায়গাগুলো বিশ্বের প্রায় সব পর্যটকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। যেমন সিউল, সিউল হলো ব্যস্ত রাজধানী যা সবসময় তালিকার শীর্ষে থাকে। সিউলের মতো কোলাহলপূর্ণ শহর বা শান্ত গ্রামীণ অঞ্চলগুলি অন্বেষণ করা হলে, ভ্রমণকারীরা নিশ্চিত দেশটির আকর্ষণ এবং বৈচিত্র্য দ্বারা মুগ্ধ হবেন।
এর পরেই রয়েছে জেজু দ্বীপ, যা “কোরিয়ার হাওয়াই” নামেও পরিচিত। এখানে আপনি বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান দেখতে পাবেন । যেমন- হাল্লাসান পর্বত, ভাল্লুক যাদুঘর, যেখানে হাজার হাজার সূক্ষ্মভাবে কারুকাজ করা টেডি বিয়ার, চেওনজিয়েওন জলপ্রপাত, যেখানে বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ রয়েছে এবং মানজাংগুল গুহা দেখতে পাবেন।
আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস, শিল্পকলা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী হন তবে আপনি জাতীয় লোক জাদুঘরে যেতে পারেন।
বুকচন হ্যানোক গ্রামে যেতে পারেন, যা জাতীয় লোক জাদুঘর থেকে প্রায় 20 মিনিটের পথ।এই মনোমুগ্ধকর পাড়াটি ঐতিহ্যবাহী কোরিয়ান ঘরগুলির সাথে সারিবদ্ধ এবং বিভিন্ন খাবারের বিকল্পগুলি অফার করে ৷ এছাড়া বুসানের Haeundae সৈকত, এবং পোচেন উপত্যকা,ইনচেন এর চায়না টাউন,ওলমিডো দ্বীপ, গোয়াংজু জাতীয় জাদুঘর, ডেজিয়ন মিউজিয়াম অব আর্ট ইত্যাদি অবশ্যই ঘুরে আসবেন।
দক্ষিণ কোরিয়া বা রিপাবলিক অফ কোরিয়া ইস্ট এশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যগতভাবে বেশ সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আধুনিক স্থাপত্য এবং দেশের বৃহত্তম কেনাকাটা এবং খাবারের এলাকাগুলির কারণে বছরে লক্ষ লক্ষ দর্শকদের অন্যতম আকর্ষণ হলো দক্ষিণ কোরিয়া । আপনিও চাইলে এই ভ্রমণে অংশগ্রহণ করতে পারেন। আপনার এই চাওয়াকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য Globird Travel পাশেই আছে।
গ্লোবার্ড ট্রাভেলের সাথে আপনার জাপান ভ্রমণ হবে আরও সহজ!
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার পরে আপনারা দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমণের সমস্ত খুঁটিনাটি জেনেছেন। ভিসা প্রসেসিং ও ভ্রমন সংক্রান্ত যাবতীয় সহযোগিতার জন্য আপনার পাশেই আছে Globird Travel। Globird এক্সপার্ট টিম আপনার দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা প্রাপ্তিতে সর্বাত্নক সহযোগিতা করবে। ভিসা প্রসেসিং এর জন্য Globird এর অভিজ্ঞ টিম আপনার জন্য নির্ভূলভাবে ভিসা ফর্ম পুরণ থেকে শুরু করে কাভার লেটার, ট্রাভেল প্লান, , হোটেল বুকিং, ফ্লাইট বুকিংসহ যাবতীয় সব বিষয়ে সহযোগীতা করবে।তাই Globird Travels এর সহযোগিতা নিয়ে আপনার দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমনের স্বপ্নকে পূরন করুন।
এছাড়া ভ্রমনসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ও সহায়তা পেতে ইমেইল করুন globirdtravel@gmail.com -এ অথবা কল করুন +8801877444482 নম্বরে।
গ্লোবার্ড ট্রাভেল