আজকে আপনি ট্যুরিস্ট ভিসায় ঢাকা টু ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায়, বিমান ভাড়া, ভিসা, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, হোটেল খরচ, খাদ্য ও পানীয়, পরিবহন , দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
ভিসাঃ
ফিনল্যান্ড অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি দেশ। বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা ফিনল্যান্ড যেতে চায় । তবে এজন্য প্রয়োজন হবে ফিনল্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা। ফিনল্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসাটি হলো স্টিকার ভিসা। এই ভিসা পেতে হলে আপনার ট্রাভেল হিস্ট্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বেতনের স্লিপ ইত্যাদির প্রয়োজন হবে। আপনি যদি নিজেকে পর্যটক প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে ফিনল্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা পাবেন না।
ফিনল্যান্ডে আপনি সিঙ্গেল/মাল্টিপল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করে পূরনকৃত আবেদনফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহকারে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ঢাকাস্থ সুইডেন অ্যাম্বাসিতে গিয়ে জমা দিবেন কারণ ফিনল্যান্ডের অ্যাম্বাসি বাংলাদেশে নেই । ফিনল্যান্ড বাংলাদেশী ট্রাভেলারদের জন্য ৯০ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসা ইস্যু করে । ভিসা ফি 90 ইউরো। সাধারনত ভিসা প্রসেসিং এর জন্য ৭-১০ কর্মদিবস সময় লাগে। ফিনল্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে আপনার মিনিমাম ৩-৪ টি দেশ ভ্রমন অভিজ্ঞতা এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট ভালো থাকলে আপনার ভিসা পেতে সহজ হবে। সাধারনত ১২-১৫ কর্মদিবস এর মধ্যে ফিনল্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা ইস্যু হয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
১.পাসপোর্টঃ অবশ্যই নূন্যতম দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। এবং ফিনল্যান্ড দেশ থেকে ফেরার পর ৩ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
২.আগের সকল পাসপোর্টের বায়ো পেজের রঙিন ফটোকপি ।
৩.একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩৫মিমি/৪৫মিমি)
৪. ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট ।
৫.আর্থিক স্বচ্ছলতার সার্টিফিকেট ।
৬.নাগরিক সংক্রান্ত ডকুমেন্টসমুহ।
৭.যদি পরিবার অথবা বন্ধুর কাছে ভিজিট করেন (স্পন্সরশীপ সনদ )
৮. চাকুরজীবীর ক্ষেত্রে NOC লেটার, Visiting কার্ড, Salary স্লিপ ইত্যাদি।
৯. আপনি ব্যাবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স/ ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট, Visiting কার্ড ও প্রতিষ্ঠানের লেটারপ্যাড।
১০. TIN সার্টিফিকেট/ট্যাক্স রিটার্ন ইত্যাদি।
১১. ব্যবসার জন্য কোম্পানী বা সংস্থার একটি, সম্মেলন বা মিটিংয়ের উদ্দেশ্য সার্টিফিকেট বা রেফারেন্স চিঠি। (যদি থাকে)
ঢাকা টু ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায় এবং বিমান ভাড়াঃ
ফিনল্যান্ড ভিসা পাওয়ার পর আপনি ঢাকা টু হেলসিংকি যাওয়ার জন্য ফ্লাইট টিকেট করবেন।
ঢাকা এবং হেলসিংকির মধ্যে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, তুর্কি এয়ারলাইন্স, এতিহাদ এয়ারওয়েজ এবং ফিন এয়ার ইত্যাদি এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে হেলসিংকিতে ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঢাকা থেকে হেলসিংকি রাউন্ড-ট্রিপ ফ্লাইটের দাম প্রায় ১,৫০,০০০-২৫০,০০০ টাকা । আপনি ভ্রমনের ১ মাস আগে টিকেট কনফার্ম করার চেষ্টা করবেন তাহলে কম প্রাইসে ফ্লাইট টিকেট পাবেন । এয়ারলাইন্স এর উপর নির্ভর করে ঢাকা থেকে হেলসিংকি ফ্লাইটের সময়কাল ১০ থেকে ১৫ ঘন্টা হতে পারে। আর যাওয়ার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী US Doller নিয়ে যাবেন।
আপনি হেলসিংকিতে পৌঁছানোর পর এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করে Money exchange Counter থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী Doller exchange করে নিবেন অথবা আপনার হোটেলের পার্শ্ববর্তী Exchange Counter থেকেও Doller exchange করে নিতে পারবেন ।এরপর এয়াপোর্ট থেকে সিমকার্ড কিনে নিবেন।
হোটেল খরচঃ
হেলসিংকি এমন একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য যেখানে আপনার বাজেট এবং পছন্দ অনুসারে থাকার মতো অনেক জায়গা পাবেন। চিপস্লিপ হোস্টেল হেলসিংকি, হোটেল ফিন ,ইন ট্যুরিস্ট হোটেল, হোস্টেল অ্যান্ড,অ্যাপার্টমেন্ট ডায়ানা পার্ক,দ্যা ইয়ার্ড হোস্টেল ইত্যাদি হোটেল আপনি চাইলে কনফার্ম করে রাখতে পারেন। ভ্রমণের আগে হোটেল বুক করে রাখলে ভালো হবে। হোটেল বুক করার জন্য আপনি Booking.com অথবা Agoda.com Website visit করে হোটেল রুম বুক করতে পারবেন।
হেলসিংকিতে হোটেল খরচ আপনার পছন্দের ধরন এবং অবস্থানের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। হোস্টেল এবং গেস্টহাউসের মতো বাজেট-বান্ধব বিকল্পগুলির জন্য খরচ হতে পারে প্রতি রাতে প্রায় ৩,০০০-৭,০০০ টাকা। মধ্য-পরিসরের হোটেলগুলির খরচ প্রতি রাতে প্রায় ১০,০০০-১৭,০০০ টাকা , হাই-এন্ড হোটেল এবং বিলাসবহুল হোটেলে প্রতি রাতে ২৪,০০০ টাকা হতে পারে।
খাদ্য ও পানীয়ঃ
ইউরোপীয় শহরের তুলনায় হেলসিংকিতে খাবার ও পানীয়ের খরচ বেশি হতে পারে। মিড-রেঞ্জ রেস্তোরাঁয় এক বেলা সাধারণ খাবারের দাম প্রায় ১,৮০০-৩,০০০ টাকা এবং উচ্চমানের রেস্তোরাঁয় এক বেলা খাবারের দাম প্রায় ৬,০০০ টাকা হতে পারে।
পরিবহনঃ
হেলসিংকিতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যেমন বাস, ট্রাম এবং মেট্রো সবচেয়ে সুবিধাজনক । ট্যাক্সি বেশ ব্যয়বহুল, যার প্রারম্ভিক রেট প্রায় ৫০০ টাকা । আপনি যদি হেলসিংকির বাইরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে সারা দিনের জন্য একটি গাড়ি ভাড়া নেয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন, এক্ষেত্রে ৪,০০০-৬,০০০ টাকা হতে পারে।
দর্শনীয় স্থানঃ
হেলসিংকিতে দেখার মতো বেশ কয়েকটি শীর্ষ দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন- হেলসিংকি ক্যাথেড্রাল, সুওমেনলিনা সমুদ্র দুর্গ এবং ফিনিশ জাতীয় জাদুঘর ইত্যাদি। কিছু দর্শনীয় স্থানের উপর নির্ভর করে প্রবেশের খরচ পরিবর্তিত হতে পারে, তবে কিছু দর্শনীয় স্থানে বিনামূল্যে প্রবেশের অফার করে । থিয়েটার এবং কনসার্টের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যেতে চাইলে স্থান এবং আর্টিস্ট এর ওপর নির্ভর করে খরচ পরিবর্তিত হতে পারে। হেলসিংকি পরিদর্শন করার জন্য আপনার ভ্রমণের ধরন এবং ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
এবার ভ্রমন হোক গ্লোবার্ড ট্রাভেল এর সাথে !!
এখন আপনি জানেন যে ঢাকা টু ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায় এবং বিমান ভাড়া, সেখানে গিয়ে কোথায় থাকতে হবে, খাদ্য ও পানীয়, পরিবহন ,হেলসিংকির দর্শনীয় স্থানগুলো কি কি ইত্যাদি । হেলসিংকি একটি আকর্ষণীয় শহর যা সহজেই আপনাকে মুগ্ধ করবে। আশা করি ,এই ব্লগটি থেকে আপনি হেলসিংকি ভ্রমণের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।
Globird Travels এর সহযোগিতা নিয়ে আপনার ফিনল্যান্ড ভ্রমনের স্বপ্নকে পূরন করুন। ভিসা প্রসেসিং এর জন্য গ্লোবার্ড এর অভিজ্ঞ টিম আপনার জন্য নির্ভূলভাবে ভিসা ফর্ম পুরণ থেকে শুরু করে কাভার লেটার, ট্রাভেল প্লান, , হোটেল বুকিং, ফ্লাইট বুকিংসহ যাবতীয় সব বিষয়ে সহযোগীতা করবে। এজন্য ফেসবুক পেইজটি ফলো এবং Youtube channel subscribe করে রাখবেন । আমাদের ওয়েবপেইজে গিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং ইমেইল করতে পারেন globirdtravel@gmail.com -এ । এছাড়া বিস্তারিত যেকোনো তথ্যের জন্য কল করুন +8801877444482 নম্বরে।
গ্লোবার্ড ট্রাভেল