দেশের বাহিরে ঘুরত যাবার জন্য কি কি বিষয় উপস্থিত থাকলে আপনি উন্নত বিশ্বকে বাছাই করতে পারবেন তা হয়তো অনেকের অজানা। সালাম সবাইকে, এই ভিডিওতে আলোচনা করব দুটি বিষয় নিয়ে। আপনি কখন ফার্স্ট অয়ার্ল্ড কান্ট্রি বাছাই করবেন ভ্রমণের জন্য এবং নিউজিল্যান্ড এ ভিসা প্রসেসিং এর প্রয়োজনীয় কিছু তথ্যাদি। আপনার একটি মাঝারি ব্যবসা অথবা ভালো মানের বেতনসম্পন্ন চাকরি থাকলে কিন্তু আপনি নিউজিল্যন্ড এর ভিসা নিয়ে সেখানে ঘুরে আসতে পারেন। শুধুমাত্র তখন আপনার বাহিরে ঘুরতে যাবার একটা মনমানসিকতা প্রয়োজন। আর একবার নিজে গিয়ে পরে পরিবারকে নিয়ে নিউজিল্যান্ড ঘুরে আসলে আপনি অস্ট্রেলিয়া এবং পরে অন্যান্য দেশে যাবার সুব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
ভিসা প্রসেসঃ
নিউজিল্যন্ডে ভিসা প্রসেস করতে আপনার যেসকল ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে তাহল আপনার পাসপোর্ট (বায়ো পেইজ এবং সকল ভিসা পেইজ সহ), জাতীয় পরিচয়পত্র, দেশের বাহিরে কোথাও থাকলে সেদেশের রেসিডেন্স কার্ড, চাকুরিজীবি হলে ছুটি মঞ্জুরপত্র, নো অবজেকশন সার্টিফিকেট, ব্যবসায়ী হলে ব্যবসার লাইসেন্স, বিবাহিত হলে নিকাহনামা, সন্তান থাকলে তাদের জন্ম সনদ। এই সব ডকুমেন্ট অবশ্যই আপনার ইংরেজীতে অনুবাদ করে নিতী হবে। এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ছবিটা ঘোলা হওয়া যাবেনা, ধর্মীয় পোশকা যেমন হিজাব এবং টুপি পড়া থাকলে আপনার চুলের গোড়া পর্যন্ত ঢাকতে পারবেন, ব্যকগ্রাউন্ড একরং এর হতে হবে। তাছাড়া ছবিতে অন্য কোন সমস্যা থাকলে আমরা আপনাকে জানিয়ে দেব। আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স, সর্বশেষ এডুকেশন সার্টিফিকেট, আইএল্টস, অন্যনয় যেকোন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কোন সনদ থাকলে জমা দিলে ভালো। ভিসা অফিসার আপনার সম্পর্কে ভালো ধারণা করতে পারবেন সেক্ষেত্রে। তারা চায় আপনি সেদেশে ঘুরতে যেয়ে ভালো একটি সময় কাটান এবং স্মরণীয় দিনগুলো আপনার আশেপাশের মানুষের সাথে শেয়ার করুন। তাতে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়। সৌহার্দ্য, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হবার ইচ্ছা ইত্যাদি আপনার ভিসা পাবার জন্য যোগ্যতা বাড়িয়ে তুলে।
ট্যুরিসম এবং ট্যুরিস্ট ভিসা সংক্রান্ত বিভিন্ন কনটেন্ট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যনেল এবং ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজটি।
ফ্লাইটঃ
ঢাকা থেকে নিউজিল্যান্ডে যাত্রা করতে হলে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, বা কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট বেছে নেওয়া যেতে পারে। সাধারণত এই রুটে ঢাকা থেকে প্রথমে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া হয়ে ট্রানজিট করতে হয় এবং তারপর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বা ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছানো যায়। এই যাত্রার সময় আকাশে সূর্যাস্তের দৃশ্য আমার খুব ভালো লাগে, যা পুরো যাত্রাকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তোলে।
নিউজিল্যন্ড ঘুরাঃ
নিইউজিল্যন্ড দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। এটি পৃথিবীর ৮ম মহাদেশ জিল্যনাডিয়া তে অবস্থিত বলেও ধরা হয়। মহাদেশটি নিমজ্জিত। নিউজিল্যন্ড দুটি প্রধান দ্ব্বীপে বিভক্ত (উত্তর ও দক্ষিণ দ্বীপ) তবে এখানে ৭০০’র ও বেশি দ্বীপ রয়েছে। রাজধানী হচ্ছে উইলিংটন কিন্তু অকল্যন্ড হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় শহর। এরপর আমার কাছে যেই দুটি শহর সবচেয়ে প্রিয় তাহল ক্রাইস্টচার্চ এবং কুইন্সটাউন। নিউজিল্যন্ডে ঘুরতে গেলে আমি এই তিনটি স্থান এ ঘুরে আসার জন্য পরামর্শ দেব। স্কুবা ডাইভিং, বিভিন্ন গুহা ভ্রমণ, হলিউডের মুভি চিত্রায়নের স্থানসমুহ, আর সেখানকার স্থানীয় খাবার গুলো চেখে দেখবেন। প্রতিবার খোলা আকাশের নীচে আসলে একবার অবশ্যই আকাশটা দেখবেন, বিভিন্ন দেশে আকাশের ছবি বিভিন্ন হয়, এজন্য আমি এই কাজটা করি। নিউজিল্যন্ড দেশে ২৫ টার মতো আগ্নেয়গিরি আছে।
উপসংহারঃ
বিদেশে ঘুরতে গেলে কোথায় যাবেন এই প্রশ্ন করা হলে অনেকেই শুধু ইউরোপের কথা বলে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড এর মতো এমন একটি দেশ আছে যার ব্যপারে আপনার অনেক কিছু আছে অজানা। প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ পশ্চিমে অর্বাচীন এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য টার্গেট করে রাখবেন কিনা একবার ভাবুন। জেনে নিন গুগল থেকে আরো অনেকে কিছু। কোন সহযোগীতার প্রয়োজন হলে গ্লোবার্ডের সাথে যোগাযোগ করুন। দক্ষ ও অভিজ্ঞ টিম নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে।
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।